জুয়া ও লেটো গানের আসর বন্ধ করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে

27th February 2020 বর্ধমান
জুয়া ও লেটো গানের আসর বন্ধ করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে


জুয়া ও লেটো গানের আসর বন্ধ করতে গিয়ে জুয়াড়ি এবং গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হল পুলিশ ।বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার পুটশুড়ি  পঞ্চায়েতের মথুরা  গ্রামে । জুয়াড়ি ও গ্রামবাসীদের যৌথ আক্রমনে জখম হয়েছেন 
মন্তেশ্বর থানার দুই পুলিশ অফিসার ও এক সিভিক ভল্যান্ডিয়ার । রাতেই  জখম পুলিশ অফিসার প্রশান্ত পরামানিক ,ইদ্রিশ আলি সেখ  ও সিভিক ভল্যান্টিয়ার সেখ  মোস্তফাকে উদ্ধার করে বর্ধমানের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।শারীরিক অবস্থা সংকটজনক থাকায় পুলিশ অফিসার প্রশান্ত পরামানিক কে স্থানান্তর করা হয় কলকাতার হাসপাতালে । এই ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে ধরপাকড়  অভিযান । 


জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর  মুখোপাধ্যায়  জানিয়েছেন ,‘হামলার ঘটনার পরেই  বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছায় । গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশ কর্মীদের মারধোর করে জখম করার ঘটনায় জড়িত  ৫ জন পুরুষ ও ৬  জন মহিলাকে ।পুলিশ কর্মীদের  মারধোরের ঘটনায় জড়িত বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে ।’ বৃহস্পতিবার  ধৃতদের পেশ করা হয় কালনা  মহকুমা আদালতে ।বিচারক ধৃত পাঁচ জন পুরুষের ৬ দিনের  পুলিশ হেপাজত ও বাকিদের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । 
 

পুলিশ সূত্রে জানাগেছে ,তারা মায়ের পুজো উপলক্ষে  বুধবার বিকাল থেকে মথুরা গ্রামে তরশ্বরে মাইক বাজানো হচ্ছিল । রাত বাড়তেই পুজো প্রাঙ্গনের একদিকে লেটো গানের আসর   ও অন্যদিকে জুয়ার আসর বসে । সেই খবর পেয়ে  জুয়ার আসরে  পৌছে যায় মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। জুয়ার আসর বন্ধ করেদিয়ে পুলিশ  দুই জুয়াড়িকে পুলিশ গাড়িতে তোলে।ওই সময়ে হাঠাত করেই লাঠি, বাঁশ ও রড হাতে নিয়ে  বেশকিছু জুয়াড়ি ও গ্রামবাসী  পুলিশের উপর চড়াও হয় । তারা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি পুলিশ কর্মীদের  ব্যাপক মারধোর শুরু করেদেয় । বেপরোয়া  মারধোরে দুই পুলিশ অফিসার ও এক  সিভিক ভল্যান্টিয়ার  মারাত্ম জখম হয় । এই হামলার ঘটনায়  জড়িত ১১ জনকে রাতেই পুলিশ  গ্রেফতার করে । এদিন মথুরা গ্রামে পৌছে দেখাযায়  লন্ড ভন্ড হয়ে রয়েছে পুজো প্রাঙ্গন । গোটা গ্রামে কোন পুরুষ  মানুষের দেখা পাওয়া যায়নি ।পুলিশের ধরপাকড়ের ভয়ে  গা ঢাকা দিয়েছেন সিংহভাগ গ্রামবাসী। ধরপাকড়ের হাত থেকে কিভাবে পরিত্রাণ মিলবে  সেই পথ এখন গ্রামবাসীরা  খুঁজে  বেড়াচ্ছে । যদিও মন্তেশ্বর থানার পুলিশ কর্তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন  হামলার ঘটনায় জড়িত কাউকেই রেয়াত করা  হবেনা । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।