জুয়া ও লেটো গানের আসর বন্ধ করতে গিয়ে জুয়াড়ি এবং গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হল পুলিশ ।বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার পুটশুড়ি পঞ্চায়েতের মথুরা গ্রামে । জুয়াড়ি ও গ্রামবাসীদের যৌথ আক্রমনে জখম হয়েছেন
মন্তেশ্বর থানার দুই পুলিশ অফিসার ও এক সিভিক ভল্যান্ডিয়ার । রাতেই জখম পুলিশ অফিসার প্রশান্ত পরামানিক ,ইদ্রিশ আলি সেখ ও সিভিক ভল্যান্টিয়ার সেখ মোস্তফাকে উদ্ধার করে বর্ধমানের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।শারীরিক অবস্থা সংকটজনক থাকায় পুলিশ অফিসার প্রশান্ত পরামানিক কে স্থানান্তর করা হয় কলকাতার হাসপাতালে । এই ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে ধরপাকড় অভিযান ।
জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন ,‘হামলার ঘটনার পরেই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছায় । গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশ কর্মীদের মারধোর করে জখম করার ঘটনায় জড়িত ৫ জন পুরুষ ও ৬ জন মহিলাকে ।পুলিশ কর্মীদের মারধোরের ঘটনায় জড়িত বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে ।’ বৃহস্পতিবার ধৃতদের পেশ করা হয় কালনা মহকুমা আদালতে ।বিচারক ধৃত পাঁচ জন পুরুষের ৬ দিনের পুলিশ হেপাজত ও বাকিদের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে ,তারা মায়ের পুজো উপলক্ষে বুধবার বিকাল থেকে মথুরা গ্রামে তরশ্বরে মাইক বাজানো হচ্ছিল । রাত বাড়তেই পুজো প্রাঙ্গনের একদিকে লেটো গানের আসর ও অন্যদিকে জুয়ার আসর বসে । সেই খবর পেয়ে জুয়ার আসরে পৌছে যায় মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। জুয়ার আসর বন্ধ করেদিয়ে পুলিশ দুই জুয়াড়িকে পুলিশ গাড়িতে তোলে।ওই সময়ে হাঠাত করেই লাঠি, বাঁশ ও রড হাতে নিয়ে বেশকিছু জুয়াড়ি ও গ্রামবাসী পুলিশের উপর চড়াও হয় । তারা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি পুলিশ কর্মীদের ব্যাপক মারধোর শুরু করেদেয় । বেপরোয়া মারধোরে দুই পুলিশ অফিসার ও এক সিভিক ভল্যান্টিয়ার মারাত্ম জখম হয় । এই হামলার ঘটনায় জড়িত ১১ জনকে রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে । এদিন মথুরা গ্রামে পৌছে দেখাযায় লন্ড ভন্ড হয়ে রয়েছে পুজো প্রাঙ্গন । গোটা গ্রামে কোন পুরুষ মানুষের দেখা পাওয়া যায়নি ।পুলিশের ধরপাকড়ের ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন সিংহভাগ গ্রামবাসী। ধরপাকড়ের হাত থেকে কিভাবে পরিত্রাণ মিলবে সেই পথ এখন গ্রামবাসীরা খুঁজে বেড়াচ্ছে । যদিও মন্তেশ্বর থানার পুলিশ কর্তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন হামলার ঘটনায় জড়িত কাউকেই রেয়াত করা হবেনা ।